ত্রিবেণী থেকে গঙ্গা জল ও গঙ্গা মাটি যাচ্ছে অযোধ‍্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার ভীত পুজোতে

26th July 2020 4:48 pm হুগলী
ত্রিবেণী থেকে গঙ্গা জল ও গঙ্গা মাটি যাচ্ছে অযোধ‍্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার ভীত পুজোতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :  আগামী ৫ই আগষ্ট উত্তর প্রদেশের অযোধ্যয় প্রধানমন্ত্রী  দ্বারা যে রামমন্দির নির্মানে ভূমি পূজো হতে চলছে সেই পূজোর জল যাচ্ছে হুগলী জেলার ত্রিবেনী ঘাট থেকে।   হুগলী জেলা বিশ্বহিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় । ভোর ৪টে নাগাদ ত্রিবেনী ঘাটে জরো হয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কার্যকর্তারা ।  ছিলেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের সম্পাদক বিপ্লব অধিকারী, সুশান্ত মল্লিক এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন   আর এস এস এর জেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রধান বীরেন পাল এবং আশীষ মন্ডল । সকলে মিলে ঘাট থেকে নৌকায় করে মাঝ গঙ্গায় গিয়ে কুন্তুি, সরস্বতী, গঙ্গা  তিনটি নদীর মিলন স্থল থেকে জল সংগ্রহ করে ঘাটে এসে পূজার  মাধ্যমে জল নিয়ে রওনা দেন কলকাতার বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখ্য কার্যালয়ে । সেখান থেকে  উত্তর প্রদেশের উদ্দেশ্যে জল নিয়ে রওনা দেবেন রাজ্য ও জেলার কার্যকর্তার। সকলের মঙ্গলের জন্য জল,মাটি পাঠানো হচ্ছে রামমন্দিরে বলে দাবি বিশ্বহিন্দু পরিষদের।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।